Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
an ideal mother
Image
Attachments

আদর্শ মা হিসেবে সমাজে প্রগতষ্ঠিত এবং সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে দেশপ্রেম উদ্বৃদ্ধ করার ব্রত দিয়ে আমি সংশার জীবন শরু করি। মধ্যবিত্ত পরিবারের পিতা মাতার প্রথম সন্তান হিসেবে স্কুলের গন্ডি পের হকত না হতেই আরাকটি মধ্যবিত্ত পরিবারের পিতৃহীন ছেলেকে স্বামী হিসেবে বিবাহ করি। অদম্য সাহস দিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রমে অনেকটা ক্লান্ত হলেও আজ আমি আত্নতৃপ্তি নিয়ে অনেকটাই স্বপ্নের কাছাকাছি। স্বামী প্রতিষ্ঠা কালীন প্রধান শিক্ষক হিসেবে খলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,খাগড়া,মিঠামইন এ যোগদান করে এক বছর চাকুরি করার পর তিনি চাকুরি ছেড়েদেন। আসলে তিনি ছিলেন সংশারের প্রতি উদসিন। স্বামীর এমন অবস্থাতেও তিনি পিছুপা হনিনি বরং তিনি ১৯৭৩ সনে মাত্র ১৫০ টাকা স্কেলে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। এতো অলাপ টাকায় সংশার চালানো এবং সন্তানের পড়াশুনার খরচ যোগানো তার পক্ষে সহজ ছিলনা। তাই তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি টিউশনি করাতেন ও সেলাই এর কাজ করে রেও কিছা অর্থ উপার্জন করে ছেলেসেয়ের পড়াশুনার খরচ করতেন। গৃহে পালনকৃত মুরগীর ডিম ও ছাগলের দুধই ছিল তার সন্তানের পুষ্টিকর খাবার। ভাল শাড়ি বা গয়নায় সংসার জীবনে খুব একটা দেখা মেলেনি। ছেলে মেয়ের পড়াশুনার জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। শুধু তিনি তার পরিবারেই শিক্ষার জন্য চেষ্টা করেননি, তার সকল আত্নীয় বর্গকে শিক্ষা দিক্ষার জন্য সসহযোগীতা করতেন ও প্রয়োজনে নিজের বাসায় আশ্রয় দিতেন এবং বছরের পর বছর তাদের উৎসাহ যোগাতেন উপার্জন মূখী হবার জন্য। জামাকাপড় থেকে শুরু করে বাসার পাশে শাক সবজি লাগাতেন। এখান থেকে কিছু অর্থ তিনি সঞ্চয় করতেন মাটির ব্যাংকে। তাড় দূড় বিশ্বাস ছিল তাল সন্তানেরা একদিন অনেক বঢ় হবে এবং মা বাবার দুঃখ কষ্ট মুছে দিবে।

আজ তার অর্থিক দৈর্ন্যতা নেই। তার ছেলে মেয়ে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় এর গন্ডি পেরিয়ে সুনামের সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেছেন। আজ তার দামী শাড়ি-অলঙ্কার এর অভাব নেই।